রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কলেজের গোল চত্বরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ অহিংস এবং গণতান্ত্রিক। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানে থাকবে আপসহীন। ‘ভয় নয়, আমরা চাই ন্যায়বিচার’—এমন স্লোগান সামনে রেখে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে। যার মূল বিষয়বস্তু হলো দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ, দায়ীদের জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ। দাবিগুলো হলো-
১. দুর্ঘটনায় নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে।
২. আহতদের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের গায়ে সেনাসদস্যদের ‘হাত তোলার’ অভিযোগে নিঃশর্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল করে নতুন ও নিরাপদ প্লেন চালু করতে হবে।
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ এলাকা মানবিক ও নিরাপদভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দুঃখপ্রকাশ কিংবা বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; তারা চায় ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর প্রতিকার।
শিক্ষার্থীরা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— তারা যেন এই দাবিগুলোর পক্ষে অবস্থান নেয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার দুপুর ১টার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় সেখানে বহু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ব্যাপক, যার বেশিরভাগই স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী।