নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে জান্নাতুল ফেরদাউস রূপা (২৪) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রূপার স্বামী সালাউদ্দিন সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহত রূপার মা তুহিন আক্তার রুনি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস রূপা নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের সালা উদ্দিন সোহেলের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে রূপার সাথে বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুরের জসিম উদ্দিনের ছেলে সোহেলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে রূপা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সোহেল চৌমুহনী বাজারের ইসলাম মার্কেটে একটি কসমেটিকস্ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
নিহতের মা তুহিন আক্তার রুনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুরে রূপা মোবাইলে জানান সোহেল তাকে মারধর করেছে। ঈদের আগের দিনও রান্না করা তরকারিতে সমস্যার অজুহাতে রূপাকে মারধর করে সোহেল ও তার পারিবারের লোকজন।
বুধবার সন্ধ্যায় সোহেল তাকে মোবাইলে জানান রূপা কিছু একটা খেয়ে অচেতন হয়ে আছে আপনারা আসেন। খবর পেয়ে তিনি রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে রূপার লাশ পড়ে আছে। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রূপার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন রূপাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ নিয়ে কয়েকবার শালিসী বৈঠক হয়েছিল। সোহেল, তার মা, বোন ও ভগ্নিপতিরা মিলে রূপাকে পিটিয়ে হত্যা করে, এখন রূপা আত্মহত্যা করেছে বলে তারা প্রচার করছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলায় আটককৃত সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply