বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকের শাস্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা।
তাদের দাবি, জয়নুল আবদিন উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট দিতে বলেছেন। এমনকি ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিষদাগার করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সেনবাগ দক্ষিণ বাজারে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারীরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোক্তার হোসেন ইকবাল, আহ্বায়ক ওবায়েদ উল্যা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম, মির্জা সোলেমান, সফিক চৌধুরী, দলিলুর রহমান, আবুল খায়ের প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোক্তার হোসেন ইকবাল বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে সারা দেশের মতো নোয়াখালীতেও বিএনপি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত আছে। এ কারণে উপজেলা বিএনপিও প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দলের কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমোতি দেয়নি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সাবেক সাংসদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন নির্বাচনী এলাকায় একজন প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠক করেছেন এবং তার পক্ষে ভোট করতে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপ দিচ্ছেন।
মোক্তার হোসেন আরও বলেন, এছাড়া তিনি কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (টেলিফোন), বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাহারকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বাবুল নামের স্থানীয় এক নেতাকে মোবাইল ফোনে অনুরোধ জানান। যা সরাসরি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান।
Leave a Reply